বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ-হবিগঞ্জ হাতি দিয়ে যাত্রীবাহী গাড়ি আটকিয়ে চাঁদাবাজি করার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার থেকে দিনভর আজমিরীগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে চাঁদাবাজি করতে করতে বানিয়াচং পৌঁছায় হাতিবাহী জনৈক লোক।.
একইভাবে বানিয়াচং চাঁদাবাজি করতে করতে সন্ধ্যায় হবিগঞ্জ যায়। সিএনজি অটোরিকশাসহ বিভিন্ন ধরনের যাত্রীবাহী গাড়ি আটকিয়ে যাত্রীদের চোখমুখের সামনে হাতির শূর বাড়িয়ে দেন হাতির উপর চড়ে থাকা লোকটি। এসময় যাত্রীরা বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে রেহাই পেতে হাতির শূরের সামনে ৫/১০টাকা করে তুলে ধরলেও হাতির উপর বসে থাকা লোকের ইশারা না পেলে টাকা নেয়নি হাতি। কাঙ্খিত পরিমাণ টাকা পেয়ে হাতিকে ইশারা দিলেই হাতি শূরে টাকা নিয়ে উপরে বসা লোকের হাতে দিয়ে যাত্রীদের পথ ছাড়ে হাতি। এতে অস্বস্তিতে ভোগলেও পরিস্থিতি থেকে দ্রুত রেহাই পেতে যাত্রীরা ২০/৩০/৫০টাকা করে দিতে বাধ্য হন। .
উল্লেখ্য, কিছুদিন পূর্বেও হবিগঞ্জ-বানিয়াচং সড়কে অনুরূপভাবে হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি করার ঘটনায় যাত্রীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। এনিয়ে পত্রিকায় সংবাদও প্রকাশ করা হয়। সোস্যাল মিডিয়ায় ভিডিও প্রতিবেদনও প্রচারিত হয়। পরদিন বানিয়াচং গ্যানিংগঞ্জ বাজারস্থ সাগর দিঘীর পশ্চিমপাড় এলাকায় বন বিভাগের হবিগঞ্জ রেঞ্জের কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ হাতিসহ নরসিংদীর এক লোককে আটক করেন।.
ওইসময় আর কখনও হাতি নিয়ে এভাবে চাঁদাবাজি করতে এই এলাকায় আসবেনা মর্মে উপস্থিত লোকজনের সামনে কাকুতি-মিনতি করে ক্ষমা চাইলে লোকজন ক্ষমা করে দেয়ার জন্য বন বিভাগের কর্মকর্তাকে অনুরোধ করেন। পরে তিনি জনতার অনুরোধে হাতিওয়ালাকে হাতিসহ ছেড়ে দেন। ওই ঘটনার কিছুদিন যেতে না যেতেই গতকাল সোমবার আবারও হাতি দিয়ে অনুরূপ চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটে। ভবিষ্যতে যেনো এধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে এব্যাপারে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন বানিয়াচং উপজেলা সদরের তোপখানা গ্রামের মুন্নাসহ ভুক্তভোগীরা।. .
ডে-নাইট-নিউজ / রিতেষ কুমার বৈষ্ণব :
আপনার মতামত লিখুন: